নায়ক থেকে গায়ক, মডেল থেকে খেলোয়াড়—দাড়ি রাখতে পছন্দ করেন অনেকেই। কারও আবার পছন্দ দাড়িহীন গাল। কিন্তু গালভরা দাড়ি থাকুক বা না থাকুক, দাড়ি চুলকান না এমন পুরুষ পাওয়া কিন্তু দুর্লভ। আর দাড়ি চুলকানোর পেছনে থাকতে পারে একাধিক কারণ। কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললে সহজেই মুক্তি মিলতে পারে এই চুলকানি থেকে।
- শেভ করার পর কিংবা দাড়ি ছোট করে কাটার পর যখন দাড়ি বৃদ্ধি পায়, তখন দাড়ির কাটা প্রান্তের সঙ্গে ঘষা খেতে থাকে, ফলে চুলকানি হতে পারে। অনেক সময় দাড়ির কাটা অংশগুলো ফলিকলের ভেতরেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে দাড়ির গোড়া ফুলে ওঠে ও চুলকায়, হতে পারে ব্যথাও। তাই দাড়ি কাটার সময় যত্নবান হতে হবে। ব্যবহার করতে হবে দাড়ি কাটার লোশন।
- ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা হ্রাস পেলে যে শুষ্কতা তৈরি হয় তাকে জেরোসিস বলে, এর ফলেও অনেক সময় দাড়ি চুলকাতে পারে। তাই নিয়মিত গালে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে।
বিশেষ কিছু ছত্রাকের সংক্রমণেও অনেক সময় গালের ত্বকে ও দাড়ির গোড়ায় প্রদাহ দেখা দেয়
- দাড়ির গোড়া বা ফলিকলের প্রদাহকে ফলিকিউলাইটিস বলে। বিভিন্ন রোগজীবাণুর আক্রমণ এই প্রদাহ তৈরি করে। আবার দাড়ির টুকরা ও ত্বকের আবর্জনা জমে ফলিকলের মুখ বন্ধ হয়ে গেলেও অনেক সময় প্রবল চুলকানি হতে পারে গালে। এ ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না।
- অনেক সময় মুখে মাখার বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে গালে খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কখনও আবার স্বাভাবিক তৈলগ্রন্থিগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ফলে গাল চুলকাতে পারে। দাড়ি চুলকালে প্রসাধনী ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিবেন।
- বিশেষ কিছু ছত্রাকের সংক্রমণেও অনেক সময় গালের ত্বকে ও দাড়ির গোড়ায় প্রদাহ দেখা দেয়। মূলত ডারমাটোফাইট নামক ছত্রাকের সংক্রমণে এ ধরনের প্রদাহ তৈরি হয় ও ত্বক খসখসে ও লাল হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় চুলকানি। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।